Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
noboganga nodi
বিস্তারিত

চুয়াডাঙ্গার কাছ থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হওয়ার পর মাগওরাতে কুমার ও নড়াইলের চিত্রা নদীর জলধারাসহ এটি দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে ভৈরব নদীতে পড়েছে। পূর্বে ইছামতির শাখা নদী ছিল, কিন্তু উৎসমুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ভৈরব নদীর একটি উপনদীতে পরিণত হয়েছে। নদীটি নাব্য ও জোয়ার-ভাটা দ্বারা প্রভাবিত।চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ জেলা অতিক্রম করে মাগুরা জেলার কাছে কুমারের সাথে মিশেছে নবগঙ্গা। এখান থেকে নবগঙ্গা কুমার নদীর পানিতে সঞ্জীবিত হয়। বস্তুত মাগুরার পরবর্তী নবগঙ্গা কুমার নদীরই বর্ধিতরূপ। গড়াই-মধুমতির বর্তমান মূল স্রোতধারার অধিকাংশই নড়াইল জেলার বড়দিয়াতে নবগঙ্গা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ২৩০ কিমি। নবগঙ্গার যাত্রাপথ আঁকাবাঁকা, তবে নদীটি ভাঙনপ্রবণ নয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে মাগুরা পর্যন্ত নদীটি অনাব্য এবং জলজ উদ্ভিদে সমাকীর্ণ। এই এলাকায় বর্ষাকালে দুই-তিন মাস নৌযান চলাচল সম্ভব। তবে মাগুরার নিম্নাঞ্চল থেকে সারা বছরই নাব্য। মাগুরা পর্যন্ত নদীটির গড় প্রশস্ততা ২০০ মিটার এবং পরবর্তী অংশের গড় প্রস্থ ৩০০ মিটার। মাগুরা পরবর্তী ভাটি অংশে জোয়ার-ভাটার গড় পরিসর ১ মিটার।নদী তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বিনোদপুর, সত্রাজিৎপুর, নওহাটা, সিঙ্গিয়া, নলদি ব্রাহ্মণডাঙ্গা, রায়গ্রাম, কলাগাছিয়া, এড়েন্দা, লক্ষ্মীপাশা, লোহাগড়া, কুমারকান্দা, কামঠানা, তেঁতুলিয়া, কালনা, বড়দিয়া, গাজীরহাট। সম্ভবত মোগল শাসনামলে নবগঙ্গা নদীর একটি শাখা মল্লিকপুর, কোলা, দিঘলিয়া, তেলিপাড়া হয়ে কালিয়া থানায় প্রবাহিত হতো